বাঁচাও নারী
- প্রিন্স আহমেদ - অপ্রকাশিত ১৮-০৫-২০২৪

শেষ যে বছর মেলার থেকে
কিনেছে লাল চুড়ি,
মেয়াটা তখন কতই হবে
উনিশ কিংবা কুড়ি।
লাল পেড়ে এক সাদা শাড়ি
জড়িয়ে নিয়ে গায়ে,
নুপুর বেধে লাল আলতা
জড়িয়েছিলো পায়ে,
কালো কাজলে একেছিলো
ভ্রমর কালো আঁখি,
মাটির গয়নায় জড়িয়ে তনু
সেজেছিলো পাখি।
ললাটে তার লাল টিপটা
সূর্যসম জ্বলছিলো,
লাল গোলাপদল ওষ্ঠদ্বয়ে
মৃদু কাঁপন চলছিলো।
খোলা চুলের ঝাপটা এসে
ঢাকছিলো তার মুখখানা,
যে মুখেতে আঁকা ছিলো
বৈশাখী এক আল্পনা।
উৎসবেতে গিয়েছিলো
গোধুলি বেলায় সই সনে,
হাসি খুশি মেয়েটা যেন
মুক্ত পাখি আসমানে।
চারটি কুকুর বসে ছিলো
সেই পথেরই সামনেটায়,
কুকুরগুলোর লোলুপ দৃষ্টি
জ্বলছিলো এক ঘৃণ্যতায়।
কুকুর গুলো পিশাচ সম
কামড়ে দিলো শুভ্রতায়,
লেপ্টে দিলো ফুল চন্দন
মাংশ খাওয়ার অভিপ্রায়!
থামলো বাতাস পাখির কূজন
ক্ষরণ হলো অন্তরে,
আর একটি সজীব স্বপ্ন
খুন হলো এক প্রান্তরে।
কি লিখবো ছন্দ কোথায়
হারিয়ে গেছে এক ভ্রমে,
আমার ছন্দ ছিলোতো সেই
কালোকেশীর সম্ভ্রমে।
কালের টানে বৈশাখ আসে
তোমাদেরই অঞ্চলে,
আমি দেখি মৃত স্বপ্ন
ঝোলে গাছের মগডালে।
হাজার স্বপ্ন হারাচ্ছে রোজ
এমন করে চারপাশে,
হতে পারে আমারই বোন, বৌ
কিংবা বন্ধু সে।
এই আমি যে শুধুই আমি
ভেবে স্বস্তি নিচ্ছ?
এই আমি তো নই যে আমি,
এই আমি এই বিশ্ব।
তোমার স্বপ্ন খাচ্ছে কুকুর,
সইতে পারবে দৃশ্যটা?
সময় থাকতে কুকুর মারো
বাঁচাও নারী, বিশ্বটা।

তাং- ০৭ এপ্রিল, ২০১৫ খ্রিঃ

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।